রাজধানীতে হঠাৎ অস্থির চালের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এতে ভোক্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুচরা-পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকরা যোগসাজশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই ধান সংগ্রহ থেকে শুরু করে চাল বাজারে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সরকারের কঠোর তদারকির দাবি জানান তারা।
হঠাৎ অস্থির চালের বাজার। বছরের এ সময়ে দাম যেখানে কমতির দিকে থাকে, সেখানে এবারের চিত্র উল্টো। সপ্তাহ ব্যবধানে চিকন-মোটা সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩-৬ টাকা এবং ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৬-৭০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭৫-৮৫ টাকায়, ব্রি-২৮ ৫২-৫৫ টাকায় আর পোলাওয়ের চালের দাম পড়ছে ১১০-১১৫ টাকা।
চালের ভরা মৌসুমেও বাজারে এসে ভোক্তারা জানালেন তাদের অসহায় অবস্থার কথা। দাম বৃদ্ধির চক্রে আটকা পড়েছেন তারা।
বাজারে এসে নাভিশ্বাস ক্রেতারা আক্ষেপ করে বলেন, প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ কীভাবে চলবে। আমরা বেতন পাচ্ছিই-বা কত আর সংসার চালাব কীভাবে। তা ছাড়া আমাদের তো নানা খরচ রয়েছে। আমরা নিরুপায়। আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, এ মুহূর্তে দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ জানা নেই। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, চালের দাম বস্তায় ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে। দেশে তো পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে। এসব ধান গেল কোথায়? সরকার যদি এ বিষয়টি তদারকি করত, তাহলে বাজারে এ পরিস্থিতি থাকত না।
তবে বিক্রেতারা জানান, দু-এক দিনে আটা, ময়দা, ডাল, চিনি, তেলের দাম বাড়েনি।