২০টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ২০০ জন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Slider সারাবিশ্ব


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ২০০ জনের আক্রান্ত হবার কথা জানা গেছে।

সাধারণত এই অস্বাভাবিক রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা জানা যায় না তবে মহামারীটিকে ‘নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী এর টিকা এবং ওষুধ যে সীমিত পরিমাণে রয়েছে তা সমভাবে বণ্টনের জন্য এগুলো মজুদ কতটা আছে তা জানানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার সকলকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছে যে আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সের নজিরবিহীন প্রাদুর্ভাব কী কারণে ঘটেছে তার অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ভাইরাসটির কোনো জিনগত পরিবর্তন এর জন্য দায়ী কিনা এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী এবং মহামারী রোগের পরিচালক ডা: সিলভি ব্রায়েন্ড বলেন, ভাইরাসটির প্রথম সিকোয়েন্সিং-এর স্ট্রেনটিতে দেখা যায় যে সব দেশে এর প্রাদূর্ভাব ঘটেছে সেখানে আমরা যে স্ট্রেনগুলো পাব তা থেকে এটি আলাদা নয় বরং (এই প্রাদুর্ভাবটি) সম্ভবত মানুষের আচরণের পরিবর্তনের কারণে আরো বেশি হয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ডব্লিউএইচওর একজন শীর্ষ উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যত্র এর প্রাদূর্ভাব ঘটেছে। স্পেন ও বেলজিয়ামের সাম্প্রতিক দুটি ঘটনায় এই রোগে আক্রান্তের সাথে যৌন সংস্পর্শে আসার সম্পর্ক রয়েছে। যা কিনা মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় যেভাবে রোগটি ছড়িয়েছে তার ধরন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। সেখানে লোকেরা প্রধানত বন্য ইঁদুর এবং বানর জাতীয় প্রাণীদের দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং এর প্রাদুর্ভাব সীমান্ত পার হয়ে ছড়িয়ে পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *