প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশে গতিশীল উন্নয়ন এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) লিসবনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতে পর্তুগালের অর্থনীতি ও সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রী ড. আন্তোনিও কস্তা সিলভাস এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
বৈঠকে পর্তুগিজ মন্ত্রীকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধির বিষয়ে অবহিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পর্তুগালের অর্থনৈতিক মন্ত্রী বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে পর্তুগাল মন্ত্রী নবায়নযোগ্য শক্তি, পরিবেশবান্ধব রূপান্তর, সামুদ্রিক প্রযুক্তি, সমুদ্র অর্থনীতিসহ বিবিধ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হন এবং আঞ্চলিক জলবিদ্যুতের জন্য পর্তুগালের সহায়তা কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশ ও পর্তুগাল উভয়ই উপকূলীয় দেশ হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে অভিন্ন অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন, যা আরও জলবায়ু সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে।
শাহরিয়ার আলম তাকে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ-পর্তুগাল অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে সম্মত হন। তিনি সমুদ্রবিদ্যা এবং সামুদ্রিক ক্ষেত্রে জ্ঞান আদানপ্রদান এবং অংশীদারত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে পর্তুগিজ দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিতির বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তার কারণে বাংলাদেশি ভিসা আবেদনকারীদের অসুবিধার বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং একটি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে বাংলাদেশে কাজ করার অনুমতি দিয়ে প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য তার হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন।
প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে একটি সরলীকৃত ভিসা পদ্ধতির গুরুত্ব স্বীকার করেন এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
বহুপাক্ষিক পর্যায়ে বিদ্যমান অংশীদারিত্বকে সুসংহত করতে মন্ত্রী ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্তুগালে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রতিমন্ত্রী ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।