সম্পর্ক অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বিশেষ করে প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে। সাধারণত প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কের জন্য বয়সটাকে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চেহারা দেখেই প্রথম পছন্দ করা হয়। কথায় আছে না, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। তবে এর বাইরেও কেউ কেউ কারো কথা বলার ধরন পছন্দ করেন। কেউবা পছন্দ করেন কোনো বিশেষ গুণ দেখে। তবে বিয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু বয়সটা দেখা জরুরি, এমনটাই বলছে আমেরিকার একদল গবেষক।
বিয়ের ক্ষেত্রে আমরা যখন কাউকে পছন্দ করি তখন আসলে নানা ধরনের জিনিস খেয়াল করি। এর মধ্যে বয়সটাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। বর্তমান সময়ে আমরা তা করতে চাই না। কিছু ব্যতিক্রম ব্যাপার থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য বিষয়। কিন্তু বিয়ে করে সংসার পাতার ক্ষেত্রে দুই জনের বয়সের ব্যবধানের গুরুত্ব রয়েছে। অন্তত এমনই দাবি সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় কাজ করা মনোবিদদের।
সামাজিক আলোচনায় শোনা যায়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক যত বেশি হবে, ততই সুখের হয় দাম্পত্য। কিন্তু এ সমীকরণ কি সত্যিই এত সহজ? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা কিছুটা সে ধারণাকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, একেবারে সমবয়সী কারো সঙ্গে সংসার পাতার চেয়ে খানিকটা ব্যবধান থাকলে ভালো।
তবে এর মানে এমন নয় যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে। বরং যেসব দম্পতির মধ্যে বয়সের ফারাক এক থেকে তিন বছরের মধ্যে, তারা অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সুখী। আর যাদের বয়সের পার্থক্য চার থেকে ছয় বছর তারাও মোটামুটি সুখী। তবে এরপর বয়সের ব্যবধান যত বাড়বে তত সুখের পরিমাণ কমতে থাকবে। অর্থাৎ বয়সের ব্যবধান বেশি বাড়তে থাকলে দাম্পত্য সুখ কমে।
আমেরিকার সেই গবেষক দলের করা সমীক্ষায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তির সঙ্গী তার থেকে বয়সে ছোট, বিয়েতে তারাই বেশি সুখী। তবে সঙ্গী যদি ছয় বছরেরও বেশি ছোট হয় তবে সুখের মান এক রকম থাকে না।