বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা ভারতের কলকাতায় ব্যক্তিগত ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার)। এর মধ্যে তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ করেন। একইসঙ্গে ১৩টি বাড়িসহ পি কে হালদারের নামে-বেনামে পাওয়া গেছে বিপুল সম্পদ।
দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তাদের কাছে এসব তথ্য দিয়েছেন পি কে হালদার। শুক্রবার (২৭ মে) কলকাতা আদালতের কাছে এসব তথ্য পেশ করেন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী।
দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার পি কে হালদারসহ আটক ছয়জনকে আদালতে তোলা হয়। জেরায় উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে এদিন আদালতকে অবহিত করা হয় বলে জানান ইডির আইনজীবী।
আদালতের কার্যক্রম শেষে পি কে হালদারসহ আটক ছয়জনকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।
অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পাচার করা টাকা কলকাতায় বিভিন্ন ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেছেন পি কে হালদার। যদিও পি কে হালদারের সম্পদ জব্দ করে সেই টাকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যাবে কিনা, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এদিকে শুক্রবার আদালত চত্বরে পি কে হালদারের বেশ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তিকে এজলাসের মধ্যেই তার কাছে গিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। বিষয়টি গোয়েন্দাদের নজরেও এসেছে।
আর্থিক খাতে আলোচিত পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।
এ ছাড়াও পি কে হালদারকে কোনো রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন কিনা, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।