মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের হতাশার পরাজয়ের পরেও উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ডিং নৈপূণ্যে আবারো জাত চেনালেন টাইগার ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়। দশমবারের মতো একই টেস্টে বল হাতে অন্তত ৫ উইকেট নেয়ার পাশপাশি ব্যাট হাতে হাঁকালেন ফিফটি।
সাদা পোশাকে আবারো হতাশা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠেও সিরিজ হারল বাংলাদেশ। মিরপুরের ফ্ল্যাট উইকেটেও লজ্জার ব্যাটিং টাইগার ব্যাটারদের। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৯ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুই সংখ্যার ঘরে পৌঁছাতে পারে মোটে তিনজন। আর সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, লঙ্কানরা জয় তুলে নেয় ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশি টপ অর্ডারদের এমন ব্যর্থতা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরেই ষষ্ঠবারের মতো ৬০ রানের আগে সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটার। এর মধ্যে ডারবানে মাত্র ১৬ ও মিরপুরে মাত্র ২৪ রানেই হারায় দলের অর্ধেক উইকেট । এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। বল হাতে তো আগেই অবদান রেখেছিলেন, কঠিন সময়ে ব্যাট হাতেও ভরসার প্রতীক এ অলরাউন্ডার।
এদিন ক্যারিয়ারের ২৭তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন সাকিব। বল হাতে ৫ উইকেটের পর এমন কীর্তি দশমবারের মতো দেখা গেলো এ অলরাউন্ডারের কাছ থেকে। ক্রিকেটের ইতিহাসে সাকিবের চেয়ে এমন কিছু বেশিবার করার রেকর্ডটা কেবল ইয়ান বোথামের। বোথাম-সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ড আছে অন্য ক্রিকেটারদেরও। তবে ব্যবধানটা অনেক বেশি। ৬ বার করে এই রেকর্ড রবি অশ্বিন ও রিচার্ড হ্যাডলির দখলে। ৫ বার করেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
সাকিব ছাড়া মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাসও। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ ব্যাটার এদিন স্পর্শ করেছেন লাল বলে দুই হাজার রানের মাইলফলক। সব মিলিয়ে অষ্টম বাংলাদেশি হিসেবে এমন নজির লিটনের। তবে দ্রুততার হিসেবে, এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আছেন তিন নম্বরে। ৫৬ ইনিংসে প্রায় সাড়ে ৩৬ গড়ে এ রান করেছেন তিনি।