বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন গাজীপুরের মনিরা সুলতানা মুনমুনসহ জেলা, উপজেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কারের জন্য ৭ ব্যক্তি ও ১৬ প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেন।
সোমবার(২৪ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
‘বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনিরা সুলতানা, গাজীপুর; কবিতা নাসরিন সৃষ্টি, ময়মনসিংহ এবং সাহানা নাসরিন-রাজশাহী থেকে মনোনীত হয়েছেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং পদক মূল্যায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য মনিরা সুলতানা মুনমুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য ও গাজীপুর ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মোঃ আকরাম হোসেন( বাদশা )এর সহধর্মিনী। অন্যদিকে গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আকরাম হোসেন( বাদশা )মানবিক ও জনগুরুত্বপূর্ন কাজের জন্য সমগ্র গাজীপুর জেলায় ব্যাপক সমাদৃত। যিনি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন “সোনার বাংলা” বিনির্মানে নিশ্চিত ও আয়েশি জীবন ত্যাগ করে প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে এসে বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক বিপর্যয় জলবায়ু মোকাবেলায় সবুজ বনায়নে সর্বাদিক গুরুত্ব প্রদান করেন।
আর একাজের অংশ হিসেবে গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় বিগত ছয় বছর ধরে বেকার নারী-পুরুষদের নিজস্ব উদ্যোগে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনামূল্যে বৃক্ষ সরবরাহ করার পাশাপাশি নিজ বাসভবনের ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড,দূর্লভ ও বিরল প্রজাতির ছাদ বাগান করে আলোচিত হন এই দম্পত্তি তথা বাগানের সত্ত্বাধিকারী মনিরা সুলতানা মুনমুন । সেবামূলক এ কর্মকান্ডের জন্য এবার ব্যক্তিগত পর্যায়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার জন্য মনোনীত হন তিনি।
স্বরণীয় ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এ পুরস্কারের প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কার প্রাপ্তদের সনদপত্র এবং প্রথমস্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান করা হয়।