রোববার (২২ মে) রাতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল রোববার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর নিবন্ধন কার্যক্রম ২২ মে সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয়েছে। শূন্য কোটা পূরণের জন্য সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজ অনুযায়ী বর্ধিত সময়সূচি ঘোষণা করা হলো। নিবন্ধনের অর্থ পরিশোধে বর্ধিত সময় শুরু ২৩ মে, নিবন্ধনের অর্থ পরিশোধে বর্ধিত সময়ের শেষ তারিখ ২৪ মে (ব্যাংকিং সময় পর্যন্ত)। বর্ধিত সময়ে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ২৫ হাজার ৯২৫ থেকে সর্বশেষ ক্রমিক ২৭ হাজার ১০৫ পর্যন্ত হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। সময়ে নিবন্ধনকারী ব্যক্তিরা কেবল সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-২ এর অধীনে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১ হাজার ৮৫১ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৮৪৯ জন হজযাত্রী হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর আগে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ১৮ মে। পরে সময় চারদিন বাড়ানো হয়।