শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ উডেন ফ্লোর স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শতভাগ সম্পন্ন করে আগামী ৩০ জুন ক্রীড়া পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিশ্চিত করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কবিরুজ্জামান। তবে দেরিতে হলেও ভেন্যুর কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট টেবিল টেনিস ফেডারেশন। এদিকে, সামনে আন্তর্জাতিক আসর থাকায় যত দ্রুত সম্ভব নিজস্ব ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেওয়ার দাবি কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের।
গেল বছরের নভেম্বরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ উডেন ফ্লোর স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্টেডিয়ামের ফ্লোরের কাঠ তুলে ফেলা হয়। কিন্তু টেন্ডার করেও নানা জটিলতায় প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ থাকে।
তবে ক্রীড়া পরিষদের তাগিদে গেল মাসে ভেন্যুতে পড়ে থাকা কাঠ সরিয়ে ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর কাজের অগ্রগতি হয় দৃশ্যমান। রড বাইন্ডিং করে এবার সিসি ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে কাজ চলছে পুরোদমে।
ঢালাইয়ের পরই, ফ্লোরে স্থাপনের জন্য উন্নত মানের সৃজন কাঠ আনা হবে। এরই মধ্যে স্টেডিয়ামের এসি ও লাইটের সংস্কার কাজ চলমান থাকলেও চলতি মাসের শেষেই আরও কিছু লাইট সংযোগ করা হবে। সব মিলিয়ে সংস্কারকাজ শতভাগ সম্পন্ন করে আগামী ৩০ জুন ক্রীড়া পরিষদের কাছে হস্তান্তর করার কথা নিশ্চিত করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কবিরুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক যে শিডিউলটা হয়েছে, শিডিউলের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে আমি কাজ করেছি এবং কাজের গুণগতমান ক্লাস ওয়ান। যদি কোনো বিপর্যয় না হয়, আমি ৩০ জুনের মধ্যে এ প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করতে পারব।’
এদিকে, এপ্রিলে টেবিল টেনিসের কাছে ভেন্যু হস্তাস্তর করার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতিতে কিছুটা স্বস্তি ফেডারেশনের। বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, উডেন ফ্লোরটা যাতে দ্রুত আমরা পেতে পারি, সে ব্যাপারেই এখানে আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে ফ্লোরটা যদি এ অবস্থায় না থাকত, তাহলে আমরা হয়তো আরেকটু ভালো প্র্যাকটিস করতে পারতাম।’
সামনে আন্তর্জাতিক আসর থাকায় যত দ্রুত সম্ভব নিজস্ব ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেওয়ার দাবি কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের। জাতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় রিফাত মাহমুদ সাব্বির বলেন, ‘আমাদের হাতে আমরা যত বেশি টাইম পাব, আমাদের পারফরম্যান্স বা আমাদের প্র্যাকটিসটা ততই ইফেক্টিভ করতে পারব।’
আরেক জাতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হাসিবুর হোসেন বলেন, ‘টুর্নামেন্ট বাহিরে হলে লং জায়গায় খেলা হয়। এটা আমাদের জন্য ডিফারেন্ট হবে একটু। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা দিলে প্লেয়ারদের জন্য ভালো হবে।’
এদিকে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ উডেন ফ্লোর স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ নিয়মতি দেখাশোনা করছেন ক্রীড়া পরিষদের সচিবসহ কর্মকর্তারা।