কোনো পরিস্থিতিতে যাতে অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানো না হয় সে বিষয়ে ট্রানজিট এবং গন্তব্যের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এ ছাড়া সংকটময় পরিস্থিতিতে আটকাপড়া অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার সময় জীবন বাঁচাতে এবং ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে এ সব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
জলবায়ুজনিত অভিবাসনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন বা খরার কারণে লাখ লাখ বাস্তচ্যুত মানুষের দুর্দশাকে অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন এই উভয় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রাখতে হবে।
তিনি সমুদ্রে দুর্দশায় পতিত অভিবাসীদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পূরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাধারণ বিতর্কে তিনি বলেন, আমাদের নৌবাহিনী আমাদের সমুদ্র উপকূল থেকে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেছে।
সাধারণ বিতর্ক পর্বে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। প্রতিমন্ত্রী মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ডোমিনিকার পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রী ড. ভিন্স হেন্ডারসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার মিসেস ইলভা জোহানসন এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকসমূহে প্রতিমন্ত্রী ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থীতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। একটি অগ্রগতি ঘোষণা গ্রহণের মাধ্যমে ফোরাম আজ শেষ হবে। খবর: বাসস