সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে চার টাকা।
তবে অস্বাভাবিক দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কেজিতে ৫-১৫ টাকা বাড়তি সবজির দাম। মাছ-মাংসের বাজারেও নেই স্বস্তি। কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে সব নিত্যপণ্যের দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার। রাতের বৃষ্টি অনেকটাই দিশেহারা করেছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের। সকাল ৮টার মধ্যে পাইকারিতে সবজি বিক্রি শেষ হলেও শুক্রবার বেলা ১১টায়ও দেখা যায় অনেক পাইকারকে সবজি নিয়ে বসে থাকতে। তারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
পাইকাররা বলেন, রাত থেকে অবিরাম ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্রেতাসংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম।
পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিচিঙ্গার দাম ৮ টাকা হলেও মাত্র ৩০ ফুট দূরে খুচরা পর্যায়ে চাওয়া হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। দাম বেড়েছে পটোল-পেঁপেসহ বেশ কিছু সবজির। তবে অস্থির পরিস্থিতিতে স্বস্তির খবর, কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪ টাকা।
এদিকে ছুটির দিনে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে চাষের ও নদীর মাছের দাম। যদিও বিক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র মন্তব্য। অনেকেই বলছেন, মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় দাম বেড়েছে।
বাজারে ব্রয়লারের দাম কমলেও বাড়তি সোনালি ও দেশি মুরগির দাম। বিক্রেতারা খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট বলে জানালেও ক্রেতারা বলছেন, সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা।
ঈদের পর মাংসের দাম কমার কথা থাকলেও বাজারভেদে গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা কেজি দরে।