আগামী শুক্রবার (২০ মে) জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স অন ফুড, এনার্জি অ্যান্ড ফিনান্সে’র (জিসিআরজি) প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জিসিআরজি কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর থাকার বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই নেত্রীর নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আস্থার প্রতীক বা উদাহরণ।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সপ্তাহ তিনেক আগে জাতিসংঘের মহাসচিব ফোনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই কমিটিতে থাকার আহ্বান জানান। সত্যি স্বীকার করতেই হয়, জাতিসংঘে না আসলে এটার বিশালতাটা বুঝতে পারতাম না। বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোও বিষয়টার গুরুত্ব সেভাবে তুলে ধরতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনি গুতেরেস। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স অন ফুড, এনার্জি অ্যান্ড ফিনান্সে (জিসিআরজি) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমান বিশ্বের সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনি গুতেরেস জিসিআরজি গঠন করেছেন। মহাসচিব গুতেরেসের সভাপতিত্বে বিশ্বের নেতৃবৃন্দের মধ্যে থেকে ৬ জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়েছে এই কমিটি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সেনাগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, জি-২০ এর চেয়ারম্যান ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, জি-৭ এর চেয়ারম্যান এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ, ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি’র (কারিকম) চেয়ারম্যান ও বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এই কমিটি খাদ্য, জ্বালানি এবং অর্থসংকট নিয়ে কাজ করবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভিন্ন সংস্থাকে সহায়তা করবে।
টেলিফোন আলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে এমন একটি বৈশ্বিক সংকট ব্যবস্থাপনা গ্রুপ গঠনে জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি করোনা মহামারির পর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য, জ্বালানি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থা খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করেন। বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অবদান রাখতে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে তার প্রতিশ্রুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।