কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের পর ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নির্বাচনে
সাধারণ কাউন্সিলর পদের ৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে একজনসহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে প্রথম দফায় প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। নির্বাচনের ৬ মেয়র প্রার্থীর সকলেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৭ মে) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৬ জন মেয়র প্রার্থী, ১২০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর।
আজ প্রথম দফা যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে মেয়র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে পরবর্তী ধাপে সেটি বৈধ ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী, তাদের মধ্যে একজন বিদ্রোহী। বিএনপি থেকে লড়বেন দুজন, তাদের মধ্যে একজন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা। অপর দুজন স্বতন্ত্র।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান লড়বেন বিদ্রোহী হিসেবে।
বিএনপি থেকে লড়বেন কুমিল্লার দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম ও নাগরিক ফোরাম সংগঠনের কামরুল আহসান বাবুল।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পেতে প্রার্থীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করতে হবে। সময়ের বাইরে কেউ আপিল করলে কোনো লাভ হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি কুমিল্লার তৃতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নতুন ইসির অধীনে এটি প্রথম ও সবচেয়ে বড় নির্বাচন।