ইউক্রেনে রুশ-ইউক্রেনীয় সেনাদের যুদ্ধ আরও তীব্রতর হয়েছে। সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দোনেৎস্কে রুশ হামলায় অন্তত ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বুধবার (১৮ মে) বার্তা সংস্থা এপির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ইউক্রেনের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে একের পর এক গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রুশ সেনারা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভিডিওটি প্রকাশ করে জানায়, রুশ সেনারা গোলার আঘাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন অস্ত্রভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টার ও সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনেরও ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
অন্যদিকে রুশ সেনাদের প্রতিরোধের ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। যেখানে দেখা যায়, ইউক্রেনে অবস্থিত রাশিয়ার সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলা ছুড়ছে জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খারকিভে প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করেছে বলেও জানায় ইউক্রেন।
মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া। সেখানে দাবি করা হয়, বুধবার ইউক্রেনের ৬৯৪ সেনা রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গেল এক সপ্তাহে জেলেনস্কি বাহিনীর এক হাজারের বেশি সেনা রাশিয়ার কাছে নিজেদের সমর্পণ করে বলে দাবি পুতিন প্রশাসনের।
এদিকে ইউক্রেনের নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের কাছে আটক রুশ সেনা ভাদিম শিশিমারিন। বুধবার কিয়েভের একটি আদালতে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় শিশিমারিন ৬২ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় নাগরিককে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ২১ বছর বয়সী ওই রুশ সেনার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের চুপাখিভকা গ্রামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ করেছে কিয়েভ। বিচার শুরুর পর থেকেই ওই রুশ সেনা কারাগারে আটক আছেন।
চলমান যুদ্ধের মধ্যে আরও তিন মাসের জন্য সামরিক আইন জারি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আইন প্রণেতাদের সম্মতির পর আগামী ২৫ মে থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এর মধ্যেই তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারো খুলেছে কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। বুধবার দূতাবাসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তা আবারো চালু করা হয়।