কয়েকদিন আগেও বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত নিম্নমুখী ছিল। তবে হঠাৎ করেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৯২ জন। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি।
এর আগে বুধবার (১৮ মে) মারা যান এক হাজার ৫৭৬ জন। এ ছাড়া তার আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ মে) মারা যান এক হাজার ২৫৯ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন। আর বুধবার (১৮ মে) শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৫ জন। আক্রান্তের এ সংখ্যা গতকালের চেয়ে আজ বেশি।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩২১ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬১। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৮ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ৭০৬ জন। এছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ১৪ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৭৮৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ২৯৩।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮১১ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৬ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ জন। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৮ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৭ জন। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৪৯ জন।
যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।