রাতুল মন্ডল,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শ্রীপুর অফিস: শ্রীপুর উপজেলার ভিবিন্ন এলাকায় গাছকেটে পাচারসহ বনভূমি দখলবাজির কারণে অনেক আগেই গাজীপুরের শালবন ধ্বংসের প্রায় শেষ সীমানায় গিয়ে পৌঁছে গেছে।
এবার অবশিষ্ট বনাঞ্চলজুড়ে চলছে মাটি চুরির মহোৎসব। রাক্ষুসে মাটি চোরচক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে বনাঞ্চলে এক্সকেভেটর দিয়ে কেটে নিচ্ছে মাটি এর সাথে সাথে চলছে জমি দখলেরও মহোৎসব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারী খাসজমিতে বিভিন্ন কোম্পানীর নামে বেনামে সাইনবোর্ড।
শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের ১১নং মৌজায় সিসিডিবি নামকস্থানে ক্রয় সুত্রে মালিক তাজ এন্টার প্রাইজ সাইনবোর্ড। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকার কিছু ভুমিধস্যুদের সাথে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা টাকার লোভে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে সরকারী খাস জমি জুতজমির কথাবলে ভুয়া কাগজ তৈরী করে বিক্রি করছেন।
এমনি একজন ক্রয়কৃত ঢাকার মালিক হাসান সাইদ জানান, স্থানীয় ভুমিধস্যু মো:হজরত আলীর কাছ থেকে বিগত ৮ থেকে ৯ বছর পূর্বে ৮একর ৬শতাংশ জমি বায়নানামা দলিল করে দেন।পরে হাসান সাইদ খাসজমি জানতে পেরে ক্রয়কৃত ঐ জমির মালিকানা সহ কাগজপত্র চায় হজরত আলির কাছে। কিন্তুু ভুমিদস্যু হজরত আলী কাগজ পত্র না দিতে পারায়এখন পর্যন্ত ঐ জমি রেজেষ্টি করা হয়নি।
হাসান সাইদের কেয়ারটেকার জানান,ভুমিদস্যু হজরত আলি একই জমি আবার তাজ এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করে হাসান সাইদের সব টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলেন।
এব্যপারে জানতে চাইলে সাত খামাইর ভিট কর্মকর্তা মো: রইছ উদ্দিন জানান, জমি দখলের ব্যাপারে বনকর্মকর্তারা কোনো ভাবেই জড়িত নয়। তিনি আরো জানান,ওই জমিতে তাজ এন্টারপ্রাইজের যে সাইনবোর্ড ছিল ইতিপূর্বে আমরা নিয়ে এসেছি।এখন পুনরায় কোনো কোন সাইনবোর্ড আছে কিনা আমার জানা নেই তবে যদি থাকে সরেজমিনে গিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।