ভোজ্যতেল আমদানিকারক আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলা করেছে সংস্থাটি।
কমিশনের করা এ মামলায় এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশও পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগামী ১৮ ও ১৯ মে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ব্যবসায়িক তথ্য চাওয়া হবে।
ওই আট প্রতিষ্ঠান হলো—সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা), মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ), বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা কমিশন আইন, ২০১২-এর ১৫ ধারা অনুযায়ী আমরা আটটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছি। তাদেরকে শুনানিতেও ডাকা হয়েছে। শুনানিতে কোম্পানিগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা সব তথ্য নেবো। এরপর দেখবো কারা কোন ধরনের অপরাধ করেছেন। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে কোনো কারসাজি ধরা পড়লে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ে কারসাজি ঠেকাতে প্রতিযোগিতা কমিশনের গঠিত অনুসন্ধান দল বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডসহ কয়েকটি ভোজ্যতেল কোম্পানির গুদাম ও শোধনাগারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এবার স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করলো সংস্থাটি।