ঢাকা: দেশের বাজারে তেল না থাকার সংকট আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা যেটা নিয়মিত আমদানি করেন সেটা যদি করে থাকেন, তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে তার প্রভাবে দেশের বাজারেও পড়বে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে ভারত থেকে ১৩-১৪ টাকা কমে তেল বিক্রি করছি। পাকিস্তান থেকে আমাদের টাকায় প্রায় ৩৬ টাকা কমে বিক্রি করছি। নেপালের প্রাইস একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমাদের পক্ষে কমানো সম্ভব হবে না। আমাদের নির্ভরতা এখনো ৯০ শতাংশ বাইরের দেশের ওপর।
তিনি বলেন, গত ৫ মে নতুন দাম নির্ধারণের পর ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। ফলে পেমেন্ট করে মাল নিয়ে তা ডিস্ট্রিবিউশন করতে সময় লেগেছে ব্যবসায়ীদের। এর বাইরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগের দামের কিছু তেল লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটাও তারা বের করছিলেন না। এজন্য সংকট হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি, আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যেই তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান বন্ধের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঠিকমতো সাপ্লাই দেওয়া শুরু না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখব।
কবে থেকে সরকার তেল আমদানি করতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী হয়তো জুন মাস থেকে টিসিবির মাধ্যমে তেল আমদানি করতে পারব।
এফবিসিসিআই তেল আমদানিতে যতটুকু শুল্ক আছে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর ট্যাক্স কমানোর দপ্তর হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমরা শুধু চিঠি দিতে পারি। আমাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১০ শতাংশ তারা কমিয়েছে। এখন ভ্যাট ৫ শতাংশ আছে। আমরা চিঠি দেবো সেটা কমানোর জন্য।
টিপু মুনশি আরও বলেন, আমরা দামটা ৩৮ টাকা বাড়িয়েছি। কিন্তু জনগণের কথা ভেবে রমজান মাসে সেটি করিনি। এফবিসিসিআই বলছিল ১৫ দিন পরপর দামটা দেখতে। আমরা এক মাস পরপর দেখি।