ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে সৈকত শহর কক্সবাজার। বৃষ্টিপাত বা ঝড়ো হাওয়া না থাকলেও উত্তাল রয়েছে সাগর। ফলে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে এখনো টাঙানো আছে লাল পতাকা। আর পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে বিধিনিষেধ মানাতে কড়া পাহারার দায়িত্ব পালন করছে লাইফগার্ড কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এমন অবস্থা দেখা যায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের ৩টি পয়েন্টে।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে টানা তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। আর ঘূর্ণিঝড় অশনি দুর্বল হয়ে পড়লেও বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। আর গত ৩ দিনের তুলনায় পর্যটকের আগমন ছিল লক্ষণীয়। ফলে সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা থাকায় খুশি হকার, ফটোগ্রাফার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সৈকতের ফটোগ্রাফার গফুর উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে গত ৩ দিন সৈকতে আসিনি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের ছবি তুলে ১২শ’ টাকা আয় হয়েছে।
বাদাম বিক্রেতা মোহাম্মদ জামাল মিয়া বলেন, মঙ্গল ও বুধবার দু’দিনে ৫শ’ টাকা করে ১ হাজার টাকা আয় করেছিলাম। পর্যটক কম থাকায় আয়ও কম ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেড় হাজার টাকা আয় করেছি। কারণ পর্যটকের আগমন বেশি হয়েছে।
শামুক ঝিনুক ব্যবসায়ী আলী বলেন, গত ৩ দিন দোকান বন্ধ ছিল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। বৃহস্পতিবার সৈকতে এসে দেখি ঘূর্ণিঝড়ে মালামালের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারপর দোকানপাট খুলে ব্যবসা করছি।
এদিকে সাগরে না নামার জন্য বালুচরে টাঙানো লাল পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে আছে বেসরকারি লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠান সী-সেইফ লাইফগার্ডের সদস্য মনজুর হাসান রাজু। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ’অশনি‘র প্রভাবে এখনো সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই এখনো সাগরের বালুচরে লাল পতাকা টাঙানো আছে। যা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য দেয়া হয়েছে। আর গোসলে নামা নিষিদ্ধ করে মাইকিং করা হচ্ছে।