ঢাক: বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় অশনি কেটে যাওয়ায় সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে নামানো হয়েছে সতর্ক সংকেত। ফলে বিকেলের পর ফের গভীর সমুদ্রে নামতে বাধা নেই।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারতের অন্ধ্র উপকূল এবং তৎসংলগ্ন স্থলভাগ ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ আকারে বৃহস্পতিবার (১২) সকাল ০৬ টায় উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশের স্থলভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল।
এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে বিকেল পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, অশনি কেটে গেলেও এর প্রভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত
খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২৩-৪৩ মি.মি.) থেকে
অতি ভারী (৮৯ মি.মি. বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টিবজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার (১৩ মে) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকাঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
ঢাকায় এ সময় দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি. মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় (৩০-৪০) কি. মি. পর্যন্ত হতে পারে।
রোববার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে এবং তাপমাত্রা বাড়বে।