সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের কাছ থেকে প্রবেশ ফি আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মঙ্গলবার (১০ মে) সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই অনুরোধ জানান।
চিঠিতে ইমরান আহমদ উল্লেখ করেন, ‘জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক পর্যটন স্পটসমূহের প্রবেশ ফি নির্ধারণ, আদায় এবং আদায়কৃত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো আইনানুগ বিধান জারি হয়েছে কি না তা জানা প্রয়োজন।’
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক বলেন, মন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার আগেই জাফলং থেকে প্রবেশ ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত প্রবেশ ফি আদায় বন্ধ থাকবে।
আগে সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের প্রবেশে কোনো টিকিট লাগতো না। গত বছর থেকে ১০ টাকা প্রবেশ ফি চালু করে উপজেলা প্রশাসন। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় ‘প্রবেশ ফির আদায়কৃত অর্থ থেকে প্রয়োজনীয় জনবলের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ বহন করা হবে। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পরবর্তীকালে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ফান্ড গঠনের জন্য একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।’
গত ৫ মে জাফলংয়ের টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে একদল পর্যটককে মারধর করে। তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন নারী পর্যটকরাও। পর্যটকদের মারধরের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ) এলাকার সংসদ সদস্য, প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের জাফলংয়ে প্রবেশ ফি আদায়কে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক ও পর্যটকদের মধ্যে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা সিলেটের পর্যটনস্পটগুলো সম্পর্কে ভ্রমণপিপাসুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশে ও বিদেশে ওই এলাকার ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা কখনোই কাম্য নয়।