ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়েও দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টিপাত।
জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায়। বিশাল বিশাল ঢেউ আঘাত করছে তীরে। তার মধ্যেই উত্তাল সাগরে গোসলরত পর্যটকদের উঠিয়ে দিচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীরা। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেকে সৈকত ছেড়ে ফিরে যাচ্ছে হোটেলে।
মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১২টার পর থেকে প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। আর গোসলরত পর্যটকদের সাগর থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলছে মাইকিংও।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৈকতে কমেছে পর্যটকের আগমন। ক্ষতি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে সৈকত পাড়ের দোকানপাট। সকাল থেকে আকাশজুড়ে কালোমেঘ, সাগর উত্তাল ঢেউ। সৈকতে টাঙানো হয়েছে লাল-হলুদ পতাকা। বালিয়াড়িতে চলছে লাইফগার্ড কর্মীদের সতর্কতামূলক মাইর্কিং।
আগত পর্যটক রাসেল চৌধুরী বলেন, লাল হলুদ পতাকা টাঙানো অবস্থায় সৈকতের হাঁটুপানিতে গোসল করেছি। কিন্তু বেলা ১২টার পর লাল পতাকা টাঙানোর পর আর গোসল করতে দেন লাইফগার্ড কর্মীরা। তবে এ সময় জোয়ারের পানিও বেড়েছে, বাতাসও হচ্ছে। তাই সাগর থেকে উঠে হোটেলে চলে যাচ্ছি।
আরেক ইয়াছমিন আরা বলেন, কক্সবাজার এসেছিলাম ঘুরতে ও সাগরে গোসল করতে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগরে নামতেই পারছি না। অবশেষে হোটেলে ফিরে যাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আর ক্ষতি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে সৈকত পাড়ের অনেক দোকানপাট। তবে সৈকতে পর্যটক কমায় বেকার সময় পারছেন ফটোগ্রাফার ও হকাররা।
লাবণী পয়েন্টের ঝিনুক ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, বাতাসের গতিবেগ বাড়ায় ক্ষতি এড়াতে দোকানপাট বন্ধ রেখেছি। কারণ প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই আগেভাগেই এই প্রস্তুতি।
সি সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভূট্টো বলেন, সাগরের পানি বাড়ায় আর বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার কারণে সৈকতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। পর্যটকদের গোসল করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। চেষ্টা করছি, পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি বা দুর্ঘটনা না ঘটে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। আর প্রস্তুত আছে জেলার আট হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক।