ঢাকা: আসন্ন ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সব দল নির্বাচনে আসবে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার(২৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বাংলানিউজকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়টি জানান।
বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে নাশকতা সহ্য করা হবে না।
তিনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ সবাই অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সব দল নির্বাচনে আসবে এটা মনে হচ্ছে। দেখা যাক মানুষ নির্বাচন চায়, না আন্দোলন চায়। এতো দিন তো বলা হতো মানুষ বলেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না।
এ সময় মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক সদস্য। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থী নিয়ে কথা হয়েছে। সাইদ খোকন ও হাজী সেলিমের মধ্যে কে ভাল প্রার্থী হবে, কার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি- এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়েছে। দু’জন প্রার্থী থাকলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থীর নিশ্চিত বিজয় নিয়ে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ঢাকা দক্ষিণে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সবার মতামত শুনলেও কোন মন্তব্য করেননি। তিনি দলের পক্ষে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাইদ খোকন এবং উত্তরে আনিসুল হককে সমর্থন দেওয়ার কথা আগেই জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ জ ম নাসিরকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
এ বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে কেউ নেতিবাচক কথা বলেননি বলে জানা গেছে।
আগামী ২৮ মার্চ তিন সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিএনপির নির্বাচনে আসা নিয়েও মন্ত্রীদের কেউ কেউ কথা বলেন। তারা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসার আলোচনাও করছে, আবার বোমাবাজিও বন্ধ করেনি। নির্বাচনে আসলে বোমাবাজি বন্ধ করতে হবে। যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে কর্মসূচি দেবে না, আর সারা দেশে কর্মসূচি থাকবে বা বিশৃঙ্খলা করবে- এটা সহ্য করা হবে না।
আলোচনায় আরো অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ।