মার্কিন সহায়তায় রাশিয়ার জেনারেলদের হত্যা!

Slider সারাবিশ্ব


মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা রুশ জেনারেলদের হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ পর্যন্ত ১২ জন জেনারেলকে হত্যা করেছে তারা। বিষয়টি অবাক করেছে সামরিক বিশেষজ্ঞদের। যুদ্ধ যখন চলছে তখন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান জেনারেলদের টার্গেটে পরিণত করতে সহায়তা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ান সামরিক সদর দফতরের অবস্থান এবং টেলিফোন নজরদারি ব্যবহার করে প্রথমে ইউক্রেনীয়দের জানায় মার্কিনিরা। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে চিহ্নিত এসব জেনারেলদের ওপর হামলা করে ইউক্রেনীয়রা।

তবে এখন পর্যন্ত কতজন রাশিয়ান জেনারেলকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা ইউক্রেন যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিনিয়ত তারা নতুন নতুন টার্গেট চিহ্নিত করছে।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ’ ঘোষণার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। কয়েকদিন ধরে পশ্চিমা কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা বলে আসছিলেন, আগামী ৯ মে ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (০৪ মে) এক বিবৃতিতে পশ্চিমাদের এ বক্তব্যকে বাজে কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রতিবছর ৯ মে’কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে মস্কো।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ‘যুদ্ধ’ বলার পরিবর্তে একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেন পুতিন। কিন্তু পশ্চিমা রাজনীতিকরা বলেন, পুতিন আগামী সোমবার (৯ মে) ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা জয় ঘোষণা করতে পারেন অথবা দুটোই করতে পারেন।

বুধবার বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এটা বাজে কথা।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবস ৯ মে। ১৯৪৫ সালের এ দিনে জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর পরাজয় ঘটে। তারপর থেকেই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে স্মরণ করে আসছে রাশিয়া।

প্রতিবছর এ দিনটি মস্কোয় ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজ ও রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, দিনটির প্রতীকী তাৎপর্যকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে সামরিক অর্জন অথবা সর্বাত্মক যুদ্ধ কিংবা দুটোই ঘোষণা করতে পারেন পুতিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *