ধর্মবিশ্বাসের কারণে বিশ্বজুড়েই আক্রান্ত হতে হচ্ছে মুসলিমদের। বিদ্বেষ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা। এমনটাই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে সোমবার (০২ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন ও মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর সোমবার (০২ মে) বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী ঈদুল ফিতর উদযাপন। এদিন মধ্যপ্রাচ্য ও আরও বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে যুক্তরাষ্ট্রও। ঈদুল ফিতর উদযাপনের অংশ হিসেবে এদিন হোয়াইট হাউসে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাইডেন। এ সময় মুসলিমদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক রাষ্ট্রদূত অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডোম হিসেবে একজন মুসলিমকে নিয়োগ দিয়েছে বাইডেন সরকার। সেই প্রসঙ্গেই বাইডেন বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকের বিশ্বে মুসলিমদের আমরা অনেক সময়ই নিগৃহীত ও সহিংসতার শিকার হতে দেখছি। কাউকে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বৈষম্য কিম্বা নিগ্রহের শিকার হওয়া উচিত নয়।’
পাশাপাশি বাইডেনের কথায় উঠে এসেছে সংখ্যালঘু উইঘুর ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুরাবস্থার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘আজকের এই পবিত্র দিনে আমরা তাদের কথা স্মরণ করছি, যারা এই পবিত্র দিন উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিশেষ করে উইঘুর ও রোহিঙ্গা মুসলিমরা। তারা দুর্ভিক্ষ, হিংসা, সংঘর্ষ ও রোগের মুখোমুখি।’
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও শোনা গেছে বাইডেনের মুখে। তর মতে, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যা কোনো ধর্ম, জাতি ও ভৌগোলিক অবস্থান নয়, শুধুমাত্র একটা আদর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। আর মুসলিমরা সেই দেশকে একটি শক্তিশালী ও নিখুঁত দেশে পরিণত করেছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানি গায়ক ও সুরকার আরুজ আফতাব, ওয়াশিংটনের মোহাম্মদ মসজিদের ইমাম ড. তালিব এম শরিফ। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হন তিনি।
হোয়াইট হাউসে ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবার ফিরে এসেছে।
এদিন ‘ঈদ মোবারক’ বলে হোয়াইট হাউসে মুসলিমদের স্বাগত জানান বাইডেন। বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি।’ অনুষ্ঠানের পর টুইটারে একটি পোস্টে বাইডেন বলেন, হোয়াইট হাউসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পেরে তিনি ও তার স্ত্রী সম্মানিত বোধ করছেন।