দেশের সব বিভাগে আগামী দুইদিন বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে কয়েক দিনের মধ্যেই আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের সব বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও নওগাঁর বদলগাছীতে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈদের দিন সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ঈদের নামাজের জামাত শেষে মানুষ কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়েন। তবে অধিকাংশ স্থানে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে জামাত শেষ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির মাত্রা বেশি ছিল না। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় নওগাঁর বদলগাছীতে ৫৩, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫২, চুয়াডাঙ্গায় ৪০, যশোরে ৩৯, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৩৮, টাঙ্গাইলে ৩৭, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৬, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও ময়মনসিংহে ৩০, নেত্রকোনায় ২৯, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২৭, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ২৫, সাতক্ষীরা, মোংলা ও চাঁদপুরে ২৪, সিলেট ও ভোলায় ২৩, বগুড়ায় ২০, গোপালগঞ্জে ১৮, চট্টগ্রামে ১৬, পটুয়াখালী ১৫, ঢাকা, মাদারীপুর ও বরিশালে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ড, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, ফেনী, নোয়াখালীর হাতিয়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বুধবার (০৪ মে) সূর্যোদয় ৫টা ২২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে।