টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝিনাই নদীতে গার্মেন্টসকর্মীসহ শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তাদের ঈদের আনন্দ নদীতেই ভেসে গেছে।
রোববার (০১ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নথখোলা ব্রিজের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের শঙ্কায় নৌ-পথে গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসকর্মীসহ যাত্রী নিয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। নৌকাগুলোর মধ্যে তিনটি নৌকা জেলার বাসাইল উপজেলার ঝিনাই নদীর নথখোলা ব্রিজ অতিক্রম করে। এসময় পেছনে থাকা অপর নৌকাটি ব্রিজ অতিক্রম করার সময় পানির নিচে থাকা পরিত্যক্ত পিলারের ওপর দিয়ে যাওয়ায় সময় নৌকাটির তলা ফেটে যায়। এসময় নৌকাটিতে পানি ওঠা শুরু করে। পরে যাত্রীরা দ্রুত সাঁতরিয়ে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শিশুসহ শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
নৌকাটিতে থাকা মনিরুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, আমরা গাজীপুর থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিলাম। নৌকাটি ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় পানির নিচে থাকা একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকার তলা ফেঁটে যায়। এসময় যাত্রীরা তারাহুড়ো করে নৌকা থেকে নামার চেষ্টা করলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে সবাই সাঁতরিয়ে পাড়ে ওঠে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি, তবে নৌকাতে অনেকের মালামাল রয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এই নদীতেই ভেসে গেছে।
বাসাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রিপন মিয়া বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসে সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন। আরও কেউ নদীতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে কিনা বিষয়টি জানা নেই। তখন কেউ নিখোঁজের দাবি করেনি।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, নৌকাটিতে থাকা অনেকেই গার্মেন্টসকর্মী। তারা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তাদের মালামাল নদীতেই ভেসে গেছে। আরও কেউ নদীতে নিখোঁজ রয়েছে কিনা এটা পরে বোঝা যাবে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল। এসময় নৌকাটি নথখোলা ব্রিজ অতিক্রম করার সময় ডুবে যায়। এসময় তারা দ্রুত পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তাদের ঈদের আনন্দটিই নষ্ট হয়ে গেছে।