বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এবারের ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। ট্যুর অপারেটররা বলছেন, গত দুই বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ থাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ ছিল। সেসব বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় মানুষজন বিদেশে ভ্রমণের জন্য বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন। খবর বিবিসি বাংলার
ঢাকার একটি ট্যুর অপারেটর আকাশবাড়ি হলিডেজের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান তুহিন বলছেন, কোভিড বিধি-নিষেধ উঠে যাচ্ছে, সেজন্য ট্রাভেল বেড়েছে। এজন্য আমাদের বিক্রি অনেক বেড়েছে।
ঢাকার ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বলেন, তার জীবনের প্রতিটি ঈদ তিনি গ্রামে করেছেন। ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা নিতে এবারই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ উদযাপনের জন্য গেলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক পর্যটক এবারের ঈদে দুবাই, মালদ্বীপ এবং থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন।
ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই তাদের গ্রামের বাড়ি বেছে নেয়। বাবা-মা কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে। কিন্তু একইসঙ্গে অনেকই সেদিকে না গিয়ে দেশের বাইরে যেতে পছন্দ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের শিক্ষক সামসাদ নওরীন বলেন, বাংলাদেশের শহুরে উচ্চবিত্ত আগে থেকেই ঈদে বিদেশ ভ্রমণ করতো। সে সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে মধ্যবিত্তদের একটি অংশ।
সামসাদ নওরিন বলেন, মধ্যবিত্তদের অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময় শহরাঞ্চল থেকে গ্রামে যাবার যে ঝক্কি-ঝামেলা সেটি অনেকেই পছন্দ করেন না। সেজন্য যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাদের অনেকে বিদেশে যেতে পছন্দ করেন।
এদিকে ট্যুর অপারেটরা বলছেন, ঈদের সময় যেহেতু অনেক একসাথে লম্বা ছুটি পান, সেজন্য পর্যটকদের সংখ্যা থাকে বেশি।
এবারের বিশেষত্ব হচ্ছে, একদিন বাড়তি ছুটি নিতে পারলে টানা ৯ দিন ছুটি কাটানো যাবে। তাছাড়া ঈদের সময় বোনাসসহ অনেকের কাছেই বাড়তি কিছু অর্থ জমা হয়। সে টাকাও পর্যটন খাতে ব্যয় করতে পছন্দ করেন অনেকে।