খুলনা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি সাংবাদিকের দৃষ্টিতে তাদের সমস্যাগুলো দেখার চেষ্টা করি। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবেন না, তারা সরকারি ক্রোড়পত্র পাবেন না।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের শহিদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় স্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট করেছেন। বর্তমানে এটি সাংবাদিকদের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত সাংবাদিকদের মাঝে ২২ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতার কন্যার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত। ’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনাই কাজ করেছেন। অন্য সরকারের আমলে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মী আইন বাস্তবে রূপ পেলে সাংবাদিকরা সত্যিকার সুরক্ষা পাবেন। ’
গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের লেখা দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বে আয়তনে ৯২তম ও অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত দেশে ২৫ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মুজিববর্ষে লাখো ভূমিহীন-গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী জমিসহ পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন। করোনায় দেশে হাহাকার হয়নি, কেউ অভুক্ত থাকেনি, বরং এই সময়ে মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। এই কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। ’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট থেকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৩২ জনকে এবং করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৮৬ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক দেওয়া হয়।