বছর কয়েক ধরে ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়াটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। পুরো ছুটিজুড়েই ঝরবে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটাই জানা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন, ঈদের আগের দিন ও ঈদের পরের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে এটা চূড়ান্তভাবে আরো দুদিন পর জানা যাবে। তবে আমরা ১০ দিনের যে পূর্বাভাস দিয়েছি, সে হিসেবে ঈদের আগে, পরে ও ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বজলুর রশিদ বলেন, ঈদের দিনের আবহাওয়ার চরিত্র কেমন থাকবে এটার সঠিক তথ্য ৭২ ঘণ্টা আগে দিতে পারব। কারণ এখন আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হয়। এ জন্য সময় যত ঘনিয়ে আসবে, এ বিষয়ে তত নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে ৪, বগুড়ায় ৫, বদলগাছীতে ৭, তাড়াশে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।