বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দ্বিতীয় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৮তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া এ বীর যোদ্ধা আজীবন দেশ আর মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।
চারদিকে তখন চরম অনিশ্চয়তা, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। জাতির জনকের পুরো পরিবার ধানমন্ডিতে অবরুদ্ধ। সময়টা ১৯৭১। এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান কিশোর শেখ জামাল। ধানমন্ডি থেকে ভারতে পৌঁছাতে ছিল জীবনঝুঁকি। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি পৌঁছে যান ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে। মুজিব বাহিনীর ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন শেখ জামাল।
অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে ছিলেন অকুতোভয় এক যোদ্ধা। যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফেরেন তিনি বাংলার মাটিতে।
এরপর তার জীবনের আরেক স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পালা। যুদ্ধ শেষে সদ্য কমিশন পেয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। শেখ জামাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লং কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার ছিলেন। পরে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে উত্তীর্ণ হন।
ছিলেন পিতার মতো নিরহঙ্কার, নির্ভীক ও দেশপ্রেমের মূর্তপ্রতীক। পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা শেখ জামালের পছন্দ ছিল সুর, সে কারণে শিখতেন গিটার, ক্রিকেটার হিসেবেও ছিল তার বেশ সুনাম।
জীবন যখন নির্মাণের ধাপগুলো স্পর্শ করছে ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ জামালকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকের বুলেট তার স্মৃতিকে বিলোপ করতে পারেনি বরং মৃত্যু অমর করেছে শেখ জামালের অবদানকে।