ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অস্থায়ীভাবে ২৫টি টয়লেট নির্মাণ করেছে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুরে আলম সিদ্দিকী। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা পাবে। এমন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক মানে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির নাম। এসব মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালে সরকার ঢাকা-টাঙ্গাইলের সড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে। নতুন করে আরও দুটি সার্ভিস লেন যোগ করে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তখন থেকে আবার শুরু হয়েছে ভোগান্তি। প্রতিবছর ঈদে যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কষ্ট করতে হয়ে লাখ লাখ যাত্রী ও গাড়ি চালকদের। অনেক সময় ঈদের নামাজ মহাসড়কেই পড়তে হয়।
এদিকে মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগরা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট তিনটি নির্মাণাধীন উড়াল সেতু ঈদ উপলক্ষ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত দুই লেন থাকায় এলেঙ্গা থেকেই যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত ২৫টি ভাসমান টয়লেট নির্মাণ করেছেন। ফলে যানজটে পড়ে থাকা মানুষের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা হবে।
এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী টয়লেট দেখা যাচ্ছে। সত্যিই এ উদ্যোগটি প্রশংসার দাবি রাখে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা যানজটের কারণে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কষ্ট হয়। নারী যাত্রীরা পড়েন বিব্রতকর অবস্থায়। অস্থায়ী টয়লেট থাকায় তাদের সমস্যা অনেকটাই কম হবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত দুই বছর করোনা থাকার কারণে ধারণা করা হচ্ছে এবার গণপরিবহনে চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। ফলে যাত্রীদের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে জ্যামে আটকে থাকতে হতে পারে দীর্ঘক্ষণ। যাত্রীদের এ দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মহাসড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে ২৫টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেছেন। যা সত্যি প্রশংসনীয়।