পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর সুখবর নিয়ে আসতে পারেন। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) জয়শঙ্করের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, ‘তিনি আসছেন এটা ভালো খবর। হতে পারে তিনি সুখবর নিয়ে আসবেন এবং আমরা এখনো জানি না যে সেই খবরটি ঠিক কী।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খুবই মধুর এবং এতে তারা খুবই খুশি। জয়শঙ্কর বাংলাদেশে আসছেন। আমরা সবসময় তাকে স্বাগত জানাই। তিনি আমাদের সারপ্রাইজ দেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের জন্য জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ নিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরটি সম্ভবত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। একটি কূটনৈতিক সূত্র রোববার ইউএনবিকে এমন তথ্য জানায়।
জয়শঙ্কর ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সাথে দেখা করবেন। মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনে যোগ দিতে ২০২১ সালের ২৬ থেকে ২৭ মার্চ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত বছরের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ৫০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
এটি ছিল ভারতীয় রাষ্ট্রপতির প্রথম বাংলাদেশ সফর এবং কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর তার প্রথম বিদেশ সফর।
এই সফরগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্ধশতাব্দীর অংশীদারিত্বের প্রতীক যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মডেল হিসেবে শক্তিশালী, পরিপক্ক ও বিকশিত হয়েছে।
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরো গতিশীল করার প্রয়াসে বর্তমানে দুই প্রতিবেশী দেশ এই বছর শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রস্তুতিসহ সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।