অস্ত্রধারীরা কোথায়?

Slider রাজনীতি


পুরনো চেহারায় নিউ মার্কেট। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সংঘাতে প্রাণ হারানো দুই পরিবারে আহাজারি। শোকের পাশাপাশি পরিবার দুটির সামনে গভীর অনিশ্চয়তা। কী করে সামনের দিনগুলো চলবে তারা জানেন না। এখনও তাদের পাশে তেমন কেউ দাঁড়ায়নি। কোনো জনপ্রতিনিধি বা ব্যবসায়ী নেতা তাদের বাসায় গেছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি।

সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক এই সভাপতির মার্কেটে দুটি দোকান রয়েছে। কিন্তু দুটি দোকানই ছিল ভাড়া দেয়া। কয়েকমাসে তিনি নিউ মার্কেট যাননি বলেও দাবি করেছেন। মকবুল হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।

সহিংসতার ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও এবং স্থিরচিত্র এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সংঘর্ষের দিন হেলমেট মাথায় অস্ত্রধারীদের সক্রিয় দেখা গেছে ওই এলাকায়। দোকান কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেকে হেলমেট পরা ছিলেন। তাদের কারও কারও কাছে অস্ত্রও দেখা গেছে। নাহিদকে অস্ত্রধারীর কোপানোর ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ওই অস্ত্রধারী এখনও আইনের আওতায় আসেনি। তাছাড়া, ওই অস্ত্রধারীর পাশে হেলমেট পরা আরও কয়েকজন তরুণকে দেখা গেছে। তাদের শনাক্তের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। নাহিদ কীভাবে নিহত হলেন তা অনেকটাই স্পষ্ট।

যদিও তিনি ঘটনার মধ্যে পড়ে যান নাকি সংঘাতে অংশ নিয়েছিলেন তা নিয়ে দুই ধরনের মতামত রয়েছে। দোকান কর্মচারী মুরসালিন ঠিক কিভাবে নিহত হলেন তা অবশ্য এখনও খোলাসা হয়নি। ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও গুরুতর আহত হয়েছেন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অনেকে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *