সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়া হাওরের একাংশের গুরমার হাওরের শেষ রক্ষা হলো না। রোববার শেষ বিকেলে তাহিরপুরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গুলগুলিয়া বাঁধ ভেঙ্গে গুরমার হাওরে প্রবেশ করে পাহাড়ি ঢল। তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল ।
তাহিরপুর উপজেলার বর্ধিত গুরমার হাওরের ২৭নং পিআইসি’র ফসল রক্ষা বাঁধের বর্ধিত গুরমার হাওরের ওই বাঁধটি রক্ষার্থে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীকে নিয়ে গত ১০/১৫ দিন আপ্রাণ চেষ্টা করে।
প্রচণ্ড বেগে বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করায় বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে যাতে পানি ঢুকতে না পারে তা আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে পানি ঢোকা বন্ধ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
পাহাড়ি ঢলের পানি আর পাঠলাই নদীর পানির প্রবল চাপে ২৭নং পিআইসি’র ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল স্রোতে হাওরে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে তলিয়ে যাবে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি বোরোধান জমি।
টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্ধিত গুরমা অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা ও গলগলিয়া ও ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা এলাকার হাওরগুলোও পানিতে তলিয়ে যাবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রায়হান কবির বলেন, ভোর সকল থেকেই আমরা এখানকার জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে ২৭নং বাঁধটি রক্ষার্থে সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও প্রতিনিয়তই উজানের পাহাড়ি ঢলের আসায় পাঠলাই নদীর পানি বাড়ার কারণে গুরমার হাওরের ফসল রক্ষা ( পুরনো বাঁধের) উপর সহ বাঁধের আশপাশের নিচু জায়গা দিয়ে সকালে প্রবল বেগে হাওরে পানি ঢুকে পড়ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আমরা তা আটকাতে সক্ষম হই। কিন্তু পানির প্রবল চাপে ২৭নং পিআইসির ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। অন্য হাওরে যাতে পানি ঢুকতে না পারে আবার লামাগাও বাজার সংলগ্ন বিকল্প বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করছি।