রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এলাকায় চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস অজ্ঞাত তরুণী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সুমন কুমারকে (১৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছে, ভুক্তভোগী তরুণীকে ৩০০ ফিট এলাকায় নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে সে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটি চাপা দেওয়া অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। উদ্ধারের সময় তরুণীর গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করা হয়। যার নম্বর-১৩/১১৬ তারিখ ১৭/০৪/২০২১ ইং। এ ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রচার করা। হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে র্যাব-১। বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী কাজী বাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি সুমন কুমারকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় আসামির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে পৃথক অভিযানে আসামির এক বন্ধুর কাছ থেকে সিম কার্ডটিও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে আসামি সুমন কুমার। শুধু তাই নয়, কবে এবং কীভাবে হত্যা করেছে তাও বিস্তারিত জানিয়েছে। সুমন জানিয়েছে, তার বাড়ি নওঁগা জেলায়। তার বাবার নাম সুবোধ মালি। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন আরও জানিয়েছে, ভুক্তভোগী তরুণী খিলক্ষেত এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই গার্মেন্টসে আসা-যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করত সুমন। গত ১০-১২ দিন আগে তার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২-৪ দিন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সুমন। এভাবে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এরপর গত ১৩ এপ্রিল তাকে রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে।
দুইদিন পর গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সুমন ঘোরার কথা বলে ওই তরুণীকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এলাকায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে ওই তরুণী তা অস্বীকৃতি জানায় এবং বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন কুমার তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর রাস্তার পাশেই মাটি চাপা দেয়।