মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর হাট ভোর থেকেই তরমুজ বেচাকেনায় জমজমাট। গ্রীষ্মকালীন এ ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না বলে জানান ক্রেতারা। এ হাটে ১৫ কেজি ওজনের তরমুজ সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ যেন তরমুজের রাজ্য। সারি সারি তরমুজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রমজানে চাহিদা বেশি থাকায় ধুম বেচাকেনা চলছে। তাই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা তরমুজ কিনতে ভিড় করছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর হাটে।
হাটের সবচেয়ে বড় ১৫ কেজি ওজনের তরমুজ ৪২০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৪ কেজি ওজনের তরমুজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়।
এ বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে বাজারে তরমুজের সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম অনেক বেশি।
প্রচুর পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ ফলটি ক্যানসার প্রতিরোধক ও পানিশূন্যতা দূর করে শরীর সতেজ রাখে। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক খোরশেদুল আলম।
তিনি বলেন, প্রতিটি স্তরে ব্যবসায়ীরা যদি নৈতিকভাবে একটু সচেতন না হন, তাহলে নিম্নস্তরের মানুষ, যাদের ক্রয়ক্ষমতা কম, তাদের জন্য তরমুজ কিনে খাওয়া বেশি কষ্টকর হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, মুক্তারপুরের তরমুজের ৯টি আড়ত ঘিরে প্রায় ২০০ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় এ হাটে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।