বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুদক জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা দিচ্ছে তা একটাও সত্য নয়। সব মামলা কাল্পনিক।
তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে রায় হলে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের আইন আদালত যে শেখ হাসিনার আঁচলে বন্দী এটার প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া। একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী গণতন্ত্রের জন্য বারবার লড়েছেন, দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়েছেন তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তার নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে।
রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলাদলের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজের পেছনে লাল টেলিফোনের প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার প্রতিবাদে এই সভা আয়োজন করা হয়।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জরুরি সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এক এগারোর সময় আজকের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন মঈন উদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। তাই আমি দুদকের চেয়ারম্যানকে বলবো ডা: জোবাইদা রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলের বউ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মীনি সেই কারণেই কী এক এগারোর সময় করা মিথ্যা পুরানো মামলা চালু করা হয়েছে? জনগণ তো তাই বিশ্বাস করে। আল্লাহ আপনারকে ক্ষমা করবে না।
পৃথিবীর সকল দৃষ্টান্ত অতিক্রম করে এক নজির সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রশাসন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তা না হলে একজন স্বাধীনতা ঘোষকের ছেলের বউ বরেণ্য পরিবারের সন্তান, একজন চিকিৎসক তার বিরুদ্ধে এ কাপুরুষিত মামলা করতে পারতেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলাটা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সারাদেশে জ্বলে উঠবে।