টঙ্গী-গাজীপুর সড়ক ও মহাসড়কের যানজটে অতিষ্ঠ জনজীবন। শুধু টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর যেতে সময় লাগার কথা মাত্র ১৫-২০ মিনিট। অথচ সেখানে সময় লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ও জয়দেবপুর সড়কে যানজট দেখা দিলে এর প্রভাব পুরো ঢাকার রাজধানীতেও ছড়িয়ে পড়ে। গাড়িতে বসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মূল্যবান সময় নষ্ট ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না। তবে বর্তমানে টঙ্গী ও গাজীপুরে সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হলো ইজিবাইক আর অটোরিকশা। এসব যানবাহন বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলের কারণে যানজটের ভয়াবহতা বেড়েই চলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে টঙ্গী-জয়দেবপুর ও টঙ্গী-কালিগঞ্জ সড়ক ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হচ্ছে। মহাসড়কে বিআরটি’র উন্নয়ন খোঁড়াখুঁড়ি, অপরদিকে ইজিবাইক ও অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচল, মহাসড়কে ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাজার বসানো এবং যেখানে-সেখানে গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় যানজট বাড়তেই চলছে।
এসব প্রতিরোধে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবে পুলিশ বলছে, সড়কের বিষফোঁড়া হলো অটোরিকশা আর ইজিবাইক, এসব রোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয় দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা পলাশ বলেন, সড়ক ও মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অটোরিকশা। এসব রোধে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বাধা নেই। পুলিশও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এছাড়া আর সড়কের উপর গাড়ির স্ট্যান্ড, টঙ্গী পূর্ব থানার মূল ফটকে ইজিবাইক, হাসপাতাল ফটকে সিএনজি স্ট্যান্ড, স্টেশনরোড, চেরাগআলী, কলেজ গেট, টঙ্গী বাজার এলাকা, দত্তপাড়া ও এরশাদ নগরসহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক দখল করে অর্ধ-শতাধিক গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে। যার কারণে যানজট কমছে না।
টঙ্গী বাজার এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে শত শত দোকান বসিয়ে একটি চক্র লাখ লাখ টাকার চাঁদা তুলছে। এছাড়া টঙ্গীর চেরাগ আলী, কলেজ গেট, স্টেশনরোড, টিএন্ডটি বাজার, দত্তপাড়া ও গাজীপুর এলাকায় সড়ক দখল করে মার্কেট বসানোর ফলে যানজট তৈরি হচ্ছে। এসব রোধে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, বিআরটি প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি শেষ না হলে জ্যাম থাকবেই। দ্রুত কাজ শেষ হলেই মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন শত শত অটো ও ইজিবাইক ডাম্পিং করা হচ্ছে। কিন্তু কোনা কাজ হচ্ছে না। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে বিআরটি প্রকল্প পরিচালক মো. ইলিয়াস বলেন, চারভাগের মধ্যে তিনভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে।