মসজিদুল আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার নিন্দা হেফাজতসহ বিভিন্ন সংগঠনের

সারাবিশ্ব

জেরুসালেমে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায় ফিলিস্তিনি রোজাদার মুসল্লিদের উপর ইসরাইলি বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।

হেফাজতে ইসলাম
পবিত্র আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলী পুলিশের বর্বর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসায় ইসরাইলি পুলিশদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ হামলা মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন।

তারা বলেন, পবিত্র কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলী হানাদার বাহিনীর বর্বর হামলা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং এ ঘটনা সারাবিশ্বের মুসলিম নাগরিকদের অনুভূতিতে তীব্রভাবে আঘাত করেছে।

তারা আরো বলেন, আমরা ইসরাইলী হামলায় হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বের যেখানে যেখানে এ জাতীয় ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
ইসরাইলের অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লীদের উপর ইসরাইলি সেনাদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লীদের উপর হামলা চালিয়ে অনেক মুসল্লীকে আহত করা হয়েছে যা অত্যন্ত অমানবিক ও জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন।

নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরো বলেন, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর সহিংসতা শোচনীয়ভাবে বেড়েই চলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।

নেতৃদ্বয় বাংলাদেশ সরকারকে মসজিদুল আকসায় মুসল্লীদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ন্যাপ
পবিত্র রমজানে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলী পুলিশ বাহিনীর বর্বর হামলায় হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র মসজিদ বায়তুল আকসা। সারা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে এ মসজিদের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে এ মসজিদে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইসরাইলী বাহিনী মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত করেছে। নিরস্ত্র রোজাদার মুসল্লীদের উপর যে হামলা চালানো হলো তা জঘন্য বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসনের সময়ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নেতারা তখন তাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রভুদের খুশি রাখতে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। নামাজরত মুসল্লি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লংঘন হলেও মুসলিম বিশ্ব ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলো নিরব কেন?

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
সংগঠনের মহাসচিব শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এক বিবৃতিতে বলেন, মুসলিম বিশ্বের নীরবতার কারণেই ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী দিন দিন বেপরোয়া হয়ে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালাচ্ছে। রমজান মাসের পবিত্রতাকে নষ্ট করেছে। মুসলিম বিশ্বকে তাদের অন্যায় ও গর্হিত কাজের প্রতিবাদে জেগে উঠতে হবে। তিনি জাতিসঙ্ঘ, ওআইসিসহ সকল মানবাধিকার সংগঠনকে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ
এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলী পুলিশ। সহিংস এ হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনি। আমরা পবিত্র কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলী বাহিনীর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এ হামলার মাধ্যমে ইসরাইল বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে চরম আঘাত দিয়েছে। এটি মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন। ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন অবসানের জন্য আমরা দ্রুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব এবং উস্কানিমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *