বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রিপোর্টে দেখা যায়, কোনো অপকর্মই সরকার আড়াল করতে পারেনি। হাজার হাজার ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেও আওয়ামী সরকারের মরণঘাতি দুঃশাসনের বিভীষিকা আড়াল করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছে। আইন-আদালত সরকারের কব্জায়। দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যায় জড়িত। বিরোধী দল নিধনে নিরাপত্তা বাহিনীকে সরকার ব্যবহার করছে। বাক-স্বাধীনতা সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে-২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জালভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়ম ছিল ঐ নির্বাচনে।
পর্যবেক্ষকরা ঐ নির্বাচনটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, এই রিপোর্টের প্রতিয়মান হয় যে, বেগম জিয়া ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতিহিংসার শিকার। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এর অর্থ, খালেদা জিয়া সম্পর্কে অবৈধ আওয়ামী সরকারের অপপ্রচার সম্পর্কে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়। এই মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন-মেগা প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবতা হলো-বিভ্রান্তি নয়, অভিনব নজিরবিহীন দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত মেগা প্রকল্প নিয়ে সত্য কথাই আজ দেশ-বিদেশে বলাবলি হচ্ছে। এই মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা যে লুটপাট হচ্ছে তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলংকার মতোই ধাপে ধাপে দেউলিয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
নরসিংদীতে ইফতার মাহফিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে বাধা দেয়ার সমালোচনা করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ।