সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন জোট থেকে সরে আসা তিনটি রাজনৈতিক দল দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসের জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রীও চেয়েছে দলগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই তিনটি দলের ১৬ জন আইনপ্রণেতা সোমবার (১১ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বলেছেন যে, তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে দেখা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) আরও আলোচনার কথা।
এর আগে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকি দেয় দেশটির প্রধান বিরোধী দল। চলমান তীব্র অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা সংসদে বলেন, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের কাজ করা উচিত। তা না করতে পারলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে জানান তিনি।
পণ্যমূল্যের আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্যঘাটতি আর অর্থনৈতিক দুর্দশার কবলে পড়েছে দেশটি। ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রটি বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে। আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য ডলার নেই বললেই চলে। এতে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য প্রেসিডেন্টকে দায়ী করে রোববারও (১০ এপ্রিল) রাজপথে নেমে আসেন হাজারো মানুষ। আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছানোর আগেই দেশটির জ্বালানি এবং খাদ্যের মজুত পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর শক্তভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন গোতাবায়া রাজাপাকসে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তাকে দায়ী করা হলেও, কোনো অবস্থাতেই পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি