ঈদ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য বেচাকেনার লক্ষ্য নিয়ে নতুনভাবে বিনিয়োগ করেছে শপিংমলগুলো। এতে গত দুই বছর করোনার কারণে লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যবসায়ীদের। তবে পোশাকের কালেকশন আর দাম নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নিত্যনতুন ডিজাইন আর চোখ ধাঁধানো নানা পোশাকের পসরা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সব মার্কেট সেজেছে নতুন সাজে। ঈদ বাজার ধরতে বাহারি পোশাক এনে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা বিপণিকেন্দ্রগুলোর। এজন্য প্রত্যেক ব্যবসায়ী নতুন করে বিনিয়োগ করেছেন।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রকাশ করে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সভাপতি সালেহ আহমেদ সোলাইমান বলেন, গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক সরবরাহের জন্য আমরা সব মার্কেটে বিনিয়োগ করেছি। এতে একটি নতুনত্বের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
মহামারির কারণে গত দুই বছর অনেকটা লোকসানের মুখে পড়তে হয় এ খাতের ব্যবসায়ীদের। এবার ঈদে তা কাটিয়ে জমজমাট কেনাবেচা হবে- এমন প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের। তারা বলেন, এবারের ঈদের কালেকশন ভালো। নানা ধরনের পণ্যের সমাহার। তাই আশা করছি, ভালো ব্যবসা হবে।
এদিকে ঝলমলে পোশাকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের মুখও। তবে দাম বেশির অভিযোগ অনেকের। পণ্যের দাম নিজেদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকার অভিযোগ করে ক্রেতারা বলেন, বাজারে নতুন পণ্য থাকলেও দাম অনেক বেশি। এগুলো আমাদের হাতের নাগালের বাইরে রয়েছে।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, চট্টগ্রামে শতাধিক অভিজাত শপিংমলসহ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার মার্কেট রয়েছে।