বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ ফ্রিতে দিলেও ভারতে অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ। ভারত সরকার প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব বয়সী মানুষকে করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য অধিদফতর। সূত্র দ্য ইকোনমিকস টাইমস।
করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ভারতের কোভিড পরিস্থিতি। দেশটিতে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯৬ শতাংশ। আর ৮৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। এরপরও শনাক্তের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাই এবার বুস্টার ডোজের জন্য নতুন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে মোদি সরকার।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে দেশটির সব বেসরকারি টিকা কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন দেশটির নাগরিকরা। তবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং ষাটোর্ধ্বোরা আগের মতোই বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সতর্কতামূলক ডোজগুলো ব্যক্তিগত টিকা কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ বাজারে ৬০০ টাকা। সঙ্গে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার ৯ মাস পরে বুস্টার নিতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্করা।
এদিকে ভারত সরকার আগামী ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দিয়ে আসছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মতো বুস্টার ডোজ কার্যক্রমও একেবারে ফ্রিতে পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সরকার।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশের মানুষের মধ্যে ২৫ কোটি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টার্গেটের জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। আর দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে।