টালমাটাল পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও পার্লামেন্টে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন। আর তা গড়িয়েছে আদালতে। বুধবারও (৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আদালতকক্ষে সরকার ও বিরোধীদলের বিপুল সংখ্যক রাজনীতির উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আদালত রায় দেবেন বলে জানা গেছে।
ইমরান সরকারের মন্ত্রী আলী মোহাম্মদ খান বলেন, আদালত নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে, আশা করি শিগগিরই একটা সমাধান মিলবে পিটিআই জোট সরকারের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের নেতা গোলাম দস্তগির খান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। যারা বিশ্বাস করে সংবিধানকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায় আদালতের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমাদের আশা।
এদিকে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনকে তারিখ নির্ধারণ করতে বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাগাদা দেওয়া হয়। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিভিন্ন ধরনের আইনি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে নির্বাচন আয়োজনে দেরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নতুন করে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণসহ আগাম নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লেগে যাবে বলেও জানান তারা।
এদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিয়ে গোপনে পাকিস্তান ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির বান্ধবী ফারহা খানের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাকিস্তানে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত জেনে স্ত্রীর বান্ধবীর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন ইমরান। ইমরান পরিবারের ঘনিষ্ঠ ফারহা একটি ডলার বোঝাই ব্যাগ নিয়ে বিশেষ বিমানে পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই গিয়েছেন বলে টুইটারে অভিযোগ করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ-এর নেত্রী রহিমা খুরশিদ আলম।