শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা জেলেপাড়া এলাকায় পুলিশের ধাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর বানার অংশে ঝাঁপিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বরামা-সিংহশ্রী সেতুর পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। রোববার বিকেল থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। নিহত মো: মামুন (২৪) একই এলাকার মো: নূরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বানার নদের বরামা-সিংহশ্রী সেতুর নিচে একটি লাশ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এর আগে রোববার ও সোমবার সেতুর অদূরে জেলেপাড়া এলাকায় দফায় দফায় অনুসন্ধান চালায় ডুবুরি দল।
নিখোঁজ যুবকের বড়ভাই মাসুম মিয়া জানান, গত রোববার বিকেলে একটি দোকান থেকে মামুন ইফতার সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাকীল আহমেদের নেতৃত্বে মোট চারজন সাদা পোশাকধারী এসে তাকে গ্রেফতার করে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে মামুন পাশের বানার নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ডুবুরি দলকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মামুনের হদিস পাওয়া যায়নি।
মাসুম দাবি করেন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে আটক করেছিল পুলিশ সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, মামুনের লাশের মাথার পেছনের দিকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মামুন মিয়াকে আটকের বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার প্রয়োজনে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাকীল আহমেদের নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশ পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।