সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে অটিজমে আক্রান্ত শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সব শিশুকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং আমাদের (সরকারের) বহুমুখী প্রচেষ্টায় আমরা অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হব।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো-‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে। তাদের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে সেই প্রতিভাগুলো বিকশিত করতে হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহযোগিতা করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করতে পারে এবং সমাজে অবদান রাখতে পারে।
বাবা-মা ও অভিভাবকদের মৃত্যুর পর অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তা করবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা বিভাগীয় সদরদফতরে প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করবো এবং ধীরে ধীরে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের মাধ্যমে তা সব জেলায় করা হবে।
তিনি এ লক্ষ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে একটি প্রকল্প নিতে বলেছেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও সচিব মাহফুজা আক্তার এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অটিজম সিনড্রোমে আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পক্ষে বিশেষ শিশু ইসাবা হাফিজ সুষমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ সফল অটিজম আক্রান্ত শিশুদের এবং এ ধরনের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অটিজমের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। শেখ হাসিনা ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামে দুটি অ্যাপসেরও উদ্বোধন করেন।
সূত্র : ইউএনবি