শিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করলেই কেবল অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোলে গোলাবর্ষণ বন্ধ হবে। বুধবার (৩০ মার্চ) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক ফোনালাপকালে এ কথা বলেন পুতিন। খবর বিবিসির।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপকালে মারিউপোল থেকে সাধারণ মানুষদেরকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বিবেচনা করে দেখতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ফরাসি কর্মকর্তারা মারিউপোলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে বর্ণনা করেছেন। কর্মকর্তারা বলেন, ‘সেখানে বেসামরিক নাগরিকদেরকে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। তারা নগরী ছাড়তে চাইলেও যেতে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় খাবার, পানি, ওষুধ এবং ত্রাণও তাদের কাছে পৌঁছাতে দিতে হবে।’
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে শহরটিতে রুশ বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শহরই ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানে বিজয় ছিনিয়ে আনার চাবিকাঠি।
বিবিসি জানায়, নতুন প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে বোমাবর্ষণে বন্দরনগরী মারিউপোলের ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অবরুদ্ধ এই নগরীতে কয়েকসপ্তাহ ধরে চলছে রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণ।
এদিকে ফ্রান্স, তুরস্ক, গ্রিসসহ আরও কয়েকটি দেশের মানবিক সহায়তা গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে মারিউপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা পেশ করেছেন। ফরাসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্লাদিমির পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে ‘চিন্তা-ভাবনা করবেন’ তিনি।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনী নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। বুধবার (৩০ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অলেক্সান্ডার মোতুজিয়ানিক এ দাবি করেন।
মোতুজিয়ানিক বলেন, ‘রাশিয়ার মূল চেষ্টা এখন পূর্ব-ইউক্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলা।’ তিনি আরও দাবি করেন, রাশিয়া এখনও দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোল এবং পোপাসনা ও রুবিজনে শহর দখলের চেষ্টা করছে।