হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মনুস্কো-তে নিয়োজিত ৮ সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৬ জনই পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা এবং বাকি দুজন রাশিয়া ও সার্বিয়ার শান্তিরক্ষী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, উত্তর কিভু প্রদেশের ওপর দিয়ে চলা হেলিকপ্টারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল। এ সপ্তাহে সেখানে কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনী এবং এম-২৩ নামে পরিচিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে মঙ্গলবার কঙ্গোতে জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। মরদেহগুলো উদ্ধার করে উত্তর কিভুর রাজধানী গোমায় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
৬ জন সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তানে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম এক শোক বার্তায় বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করার সময় পাকিস্তানের সেনারা এ চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, কঙ্গোতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারানো সেনা কর্মকর্তাদের দুজন মেজর এবং একজন কর্নেল পদমর্যাদার। তাদের নাম- লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ আলী আওয়ান (পাইলট), মেজর ফাইজান আলী, মেজর মোহাম্মদ সাদ নোমানী (কো পাইলট), নায়েব সুবেদার সামি উল্লাহ খান (ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার), হাবিলদার মোহাম্মদ ইসমাইল (ক্রু চিফ) এবং মোহাম্মদ জামিল।
কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী (এফএআরডিসি) হেলিকপ্টারটিতে গুলি করার জন্য এম-২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। এফএআরডিসি এর আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন করার জন্য রুয়ান্ডাকে অভিযুক্ত করেছিল। তবে গত সোমবার রুয়ান্ডার সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে তা অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘ মিশন জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।