ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এটাকে মস্কোর বিরুদ্ধে নিজেদের `বিজয়’ হিসেবে দেখছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়াকে একটি কঠিন জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে।’
রুশ অভিযানের প্রথম ধাপের সমাপ্তিতে ‘বিজয়’ দেখছেন জেলেনস্কি
পশ্চিমারা বলছেন, যুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। মস্কোর পক্ষ থেকে যুদ্ধের প্রথম ধাপের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
রুশ সীমান্তে সেনা উপস্থিতি ও ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদ ঠেকাতে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের ৩০তম দিনে এসে শুক্রবার (২৫ মার্চ) এর প্রথম ধাপ সমাপ্তির ঘোষণা দেয় মস্কো। অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে এখন থেকে কেবল পূর্ব ইউরোপে মনোযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এদিন বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ’স মেইন অপারেশনস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সের্গেই রুডস্কয় বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ করার মতো সক্ষমতাও ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে আমরা এখন আমাদের মূল লক্ষ্যে মনযোগ দিচ্ছি। আর সেটি হলো— দনবাস রিপাবলিককে স্বাধীন করা।’
মস্কোর এই ঘোষণাকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে কিয়েভ। এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, মস্কোকে একটি শক্ত জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন সেনারা। চলমান যুদ্ধে ১৬ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি তার।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে আমাদের সেনারা প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে গেছেন। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এটা নিঃসন্দেহে রাশিয়ার জন্য বড় পরাজয়।’
এদিকে মস্কোর পক্ষ থেকে যুদ্ধের প্রাথমিক ধাপ শেষের ঘোষণা এলেও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারও প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়।